শিশুরা তাদের স্বাভাবিক শারীরিক এবং মানসিক বিকাশের জন্য শ্রবণশক্তির উপর নির্ভর করে। কিন্তু কখনও কখনও কিছু কারণের কারণে শিশুরা কানে কম শুনতে শুরু করে, যা তাদের ভাষা শিক্ষা ও সামগ্রিক বিকাশের উপর প্রভাব ফেলে। এই ব্লগ পোস্টে আমরা আলোচনা করবো শিশুরা কানে কম শোনার সাধারণ কারণগুলো এবং কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায়।
শিশুদের শ্রবণ ক্ষমতা কমে যাওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। এর মধ্যে কয়েকটি সাধারণ কারণ নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
১. জন্মগত ত্রুটি
কিছু শিশু জন্মগতভাবে কানে কম শুনতে পারে। এটি সাধারণত জেনেটিক কারণে ঘটে, যার ফলে শিশুর শ্রবণ প্রক্রিয়ায় সমস্যা দেখা দেয়। এই ধরনের সমস্যা প্রায়শই জন্মের পরপরই নির্ণয় করা সম্ভব হয়।
২. কান ইনফেকশন
শিশুদের মধ্যে কান ইনফেকশন একটি সাধারণ সমস্যা। মধ্যকর্ণে ফ্লুইড জমে গেলে বা সংক্রমণ হলে শ্রবণ ক্ষমতা সাময়িকভাবে কমে যেতে পারে। ইনফেকশন যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে এটি শিশুর শ্রবণশক্তির স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে।
৩. ইয়ারওয়াক্স জমা হওয়া
কান পরিষ্কার না রাখার ফলে ইয়ারওয়াক্স জমে কানের ভেতরের অংশে ব্লক তৈরি করতে পারে। এটি শিশুর শ্রবণ ক্ষমতায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে। নিয়মিত কানের যত্ন এবং পরিচর্যা করলে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
৪. উচ্চ শব্দে দীর্ঘ সময় থাকা
শিশুরা যদি দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ শব্দের মধ্যে থাকে, তবে তাদের শ্রবণ ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এটি উচ্চ শব্দযুক্ত পরিবেশে খেলার সময় অথবা উচ্চ ভলিউমে মিউজিক শোনার কারণে হতে পারে।
৫. আঘাত বা ট্রমা
কানে সরাসরি আঘাত বা দুর্ঘটনা শিশুর শ্রবণ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। খেলাধুলা বা সাধারণ দৈনন্দিন কার্যক্রমে কানে আঘাত লাগার ফলে সাময়িক বা স্থায়ীভাবে শ্রবণশক্তি হ্রাস পেতে পারে।
আপনার শিশু যদি নিচের লক্ষণগুলো দেখায়, তবে এটি শ্রবণ ক্ষমতা কমে যাওয়ার ইঙ্গিত হতে পারেঃ
নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে।
সাধারণ কথোপকথনে সাড়া দিচ্ছে না।
টিভি বা মিউজিকের ভলিউম বাড়িয়ে শোনার প্রবণতা।
স্কুলে পড়াশোনায় মনোযোগে ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।
শিশুরা কানে কম শুনলে, দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। কিছু সাধারণ সমাধানঃ
চিকিৎসকের পরামর্শঃ কানের ইনফেকশন বা শারীরিক কোনো সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করাতে হবে।
হিয়ারিং টেস্টঃ শিশুর শ্রবণ ক্ষমতা পরিমাপ করতে অডিওগ্রাম বা হিয়ারিং টেস্ট করা প্রয়োজন।
হিয়ারিং এইডঃ স্থায়ীভাবে শ্রবণ ক্ষমতা কমে গেলে হিয়ারিং এইড ব্যবহার একটি কার্যকর সমাধান হতে পারে।
কান পরিষ্কার রাখাঃ কানে ইয়ারওয়াক্স জমা হলে সেটি পরিষ্কার করার জন্য বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে।
শিশুদের কানে কম শোনা একটি গুরুতর সমস্যা, যা তাদের ভাষাগত ও মানসিক বিকাশে প্রভাব ফেলে। সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে অনেক ক্ষেত্রেই এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। তাই, শিশুর কানে কম শোনা শুরু হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করুন।
আপনার কি মনে হচ্ছে আপনার শিশু কানে কম শুনছে?
দ্রুত একজন বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন এবং শিশুর সঠিক যত্ন নিন।
মনে রাখবেন, শিশুর শ্রবণ ক্ষমতা তার শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ!
"কানে কম শোনার যন্ত্রের একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান"
দীর্ঘ ২৫ বছর যাবৎ আপনাদের সেবায় নিয়োজিত।
ফ্রি পরামর্শের জন্য কল করুন:
Developing By DHAKA SOFT IT |